পূর্ব রাশিয়ায় ফের প্রবল ভূমিকম্প। কেঁপে উঠল কুরিল দ্বীপপুঞ্জ। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৭। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রবিবারের ভূমিকম্প যথেষ্ট তীব্র ছিল উৎপত্তিস্থল সমুদ্র এলাকায়।
পূর্ব রাশিয়ায় ফের প্রবল ভূমিকম্প। কেঁপে উঠল কুরিল দ্বীপপুঞ্জ। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৭। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রবিবারের ভূমিকম্প যথেষ্ট তীব্র ছিল উৎপত্তিস্থল সমুদ্র এলাকায়। এর ফলে সুনামির আশঙ্কা রয়েছে। রাশিয়ার এমার্জেন্সি সার্ভিস দফতর জানিয়েছে, কামচাটকা অঞ্চলের তিনটি এলাকায় সুনামির সম্ভাবনা আছে। তবে খুব বড় ঢেউয়ের আশঙ্কা এখনই করছেন না বিশেষজ্ঞরা। তবে ইতিমধ্যেই টেলিগ্রামে স্থানীয়দের অ্যাকাউন্টে অ্যালার্ট পৌঁছে গিয়েছে। সেখানে উপকূল এলাকা থেকে দূরে থাকার সুপারিশ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, রাশিয়ার এই অঞ্চলে শনিবার মধ্যরাত থেকেই দুর্যোগ শুরু হয়েছে। শনিবার মাঝরাতে হঠাৎই কমচাটকার ক্রাশেনিনিকভ আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়। রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা RIA এবং একাধিক বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, প্রায় ৬০০ বছর পর এই আগ্নেয়গিরি জেগে উঠেছে।
আরও আশঙ্কাজনক বিষয়টি হল, মাত্র সপ্তাহখানেক আগেই রাশিয়ার এই অঞ্চলেই ভয়ানক ভূমিকম্পের হয়েছে। সেবারও ফ্রেঞ্চ পলিনেশিয়া থেকে চিলি, বহু দূর পর্যন্ত সুনামি সতর্কতা জারি হয়েছিল। আর সেই ভূমিকম্পের পরই কমচাটকার সবথেকে সক্রিয় আগ্নেয়গিরি ক্লুচেভস্কয়ের থেকে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়।
এখন আবার একসঙ্গে দু'টি অগ্ন্যুৎপাত এবং প্রবল ভূমিকম্প। রাশিয়ার বিজ্ঞানীদের একাংশ বলছেন, গত সপ্তাহের ওই প্রবল ভূমিকম্পের সঙ্গে এই দু’টি ঘটনার যোগসূত্র থাকতে পারে।
কমচাটকা উপদ্বীপের দক্ষিণ প্রান্ত থেকে শুরু হয়ে কুরিল দ্বীপপুঞ্জ পর্যন্ত ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। বিজ্ঞানীরা আগেই এই অঞ্চলে আফটার শকের বিষয়ে সাবধান করেছিলেন।
রাশিয়ার এই অংশে অনেকগুলি আগ্নেয়গিরি রয়েছে। এই 'রিং অফ ফায়ারে'র আশেপাশে ভূমিকম্পও বেশি হয়।
এমনিতে রাশিয়ায় পরপর ভূমিকম্প এবং আগ্নেয়গিরির জেগে ওঠা কোনও নতুন ব্যাপার নয়। তবে এই ক্রাশেনিনিকভ আগ্নেয়গিরি এতদিন ঘুমন্ত অবস্থাতেই ছিল। ছ’শো বছর পর হঠাৎ জেগে ওঠা এবং সেই সঙ্গে ফের ৭ মাত্রার ভূমিকম্পকে মোটেও স্বাভাবিকভাবে নিচ্ছে না বিশেষজ্ঞ মহল। যদিও স্থানীয় প্রশাসনের তরফে পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন