News Tap Bangla: বয়স এখন শুধুমাত্র একটি সংখ্যা মাত্র। এটি শুধু কথার কথা কিন্তু বাস্তবতা হল বয়স বাড়লে শরীরের বিশেষ যত্ন নিতে হয়। প্রায়শই ৪০ বছর বয়সের পরে, অনেক ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা ঘিরে থাকে। হাড়ের ব্যাথা, চুল পড়া, মুখে বলিরেখা, রক্তের অভাবসহ অনেক কিছু। এর সঙ্গে কমে যায় আমাদের শরীরের এনার্জি লেভেলও। সমস্যাগুলো এড়াতে বয়স ৪০ বছর হওয়ার পরে মাল্টিভিটামিন গ্রহণ করা শুরু করা প্রয়োজন। কারণ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে ভিটামিন, মিনারেল এবং ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দেয়; যা শুধুমাত্র সঠিক ডায়েট এবং মাল্টিভিটামিনের মাধ্যমে পূরণ করা যায়।
৪০-এর পর শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। এর পাশাপাশি হার্টের সমস্যাও বেড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে আপনার হার্টকে সুস্থ রাখতে আপনার ডায়েটে অবশ্যই ওমেগা ৩ অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এজন্য মাছ, আখরোট, ফ্ল্যাক্সসিড এবং শাক খাওয়ার পরিমাণ বাড়ান।
আবার অন্যদিকে যখন আপনি ৪০ বছর বয়সী হন, তখন আপনার শরীর ভিটামিন বি ১২ কমতে শুরু করে। ভিটামিন বি ১২ আপনার রক্ত এবং মস্তিষ্কের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি মাংস, মাছ, দুগ্ধজাত পণ্য এবং ডিম দিয়ে এটি পূরণ করতে পারেন। সকালের জলখাবারে নিয়মিত ভিটামিন বি ১২ খেতে হবে যাতে সারাদিন শরীরে শক্তি সঞ্চার হতে পারে।
৪০ বছর বয়সের এর পরে, বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি দেখা দেয়। ম্যাগনেসিয়ামের অভাব রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, যা হার্টের সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়। প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম খেলে শুধু হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয় না, ডায়াবেটিসও নিয়ন্ত্রণে থাকে। এটি শরীরে সরবরাহ করতে, আপনি মটরশুটি, সয়া, বাদাম, বীজ এবং অ্যাভোকাডো খেতে পারেন।
মাল্টিভিটামিন শরীরের সব ধরনের ঘাটতি পূরণ করে। ক্রমবর্ধমান বয়সে, আপনি ফল এবং দুধের মাধ্যমে যে ক্যালসিয়াম গ্রহণ করেন তা শরীরের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হয় না। ক্যালসিয়ামের ঘাটতি মেটাতে টফু, ব্রকলি, বাদাম, পালংশাক ব্যবহার করতে পারেন। আপনার প্রতিটি খাবারে এইগুলো অন্তর্ভুক্ত করুন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন