আধুনিক জীবনযাত্রার ব্যস্ততা, অতিরিক্ত কাজের চাপ ও অনিয়মিত জীবনধারার কারণে মানুষের ঘুমের মান ও সময় দুই-ই মারাত্মকভাবে কমে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রোপার ঘুম বা নিয়মিত ও পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন গড়ে ৭–৮ ঘণ্টা মানসম্মত ঘুম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখতে সহায়ক। কিন্তু বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশে গড় ঘুমের সময় নেমে এসেছে ৫–৬ ঘণ্টায়।
ঘুমের অভাবে যে ঝুঁকি বাড়ছে:
• ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি কয়েকগুণ বেড়ে যায়।
• মনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়, ফলে শিক্ষার্থী ও কর্মজীবীদের কর্মদক্ষতা হ্রাস পায়।
• দীর্ঘমেয়াদে ডিপ্রেশন, উদ্বেগ ও মানসিক অস্থিরতা দেখা দেয়।
• স্থূলতা ও হরমোনের ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. শওকত হোসেন বলেন, “আমরা প্রতিদিন অসংখ্য রোগী পাই যারা মাথাব্যথা, মানসিক চাপ কিংবা শারীরিক দুর্বলতার অভিযোগ নিয়ে আসেন। এর পেছনে একটি বড় কারণ হলো ঘুমের অভাব। প্রোপার ঘুমকে অবহেলা করলে তা ওষুধেও পূরণ করা যায় না।”
ভালো ঘুমের জন্য করণীয়:
• প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাওয়া ও জাগ্রত হওয়ার অভ্যাস করা।
• ঘুমানোর আগে মোবাইল ফোন, টিভি বা ল্যাপটপ ব্যবহার এড়িয়ে চলা।
• ক্যাফেইন ও ভারী খাবার রাতে না খাওয়া।
• নীরব ও আরামদায়ক পরিবেশ তৈরি করা।
বিশেষজ্ঞরা মনে করিয়ে দিয়েছেন, উন্নত মানসিক স্বাস্থ্য ও দীর্ঘমেয়াদি সুস্থ জীবনের জন্য প্রোপার ঘুম কোনো বিলাসিতা নয়, বরং একান্ত প্রয়োজন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন