ভারী বৃষ্টির জেরে জম্মু-কাশ্মীরে বৈষ্ণোদেবীর যাত্রাপথে আচমকা ধস নামে। সাত জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর যার মধ্যে পাঁচজন পুণ্যার্থীর।আহত হয়েছেন অনেক পুণ্যার্থী। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, অর্ধকুঁয়ারীতে ইন্দ্রপ্রস্থ ভোজনালয়ের কাছে মঙ্গলবার দুপুরে ধস নামে। আচমকা পাহাড়ের ঢাল বেয়ে বড় বড় পাথর, বোল্ডার নেমে আসায় পুণ্যার্থীদের মধ্যে আতঙ্কে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। ধসের নীচে চাপা পড়ে যান বেশ কয়েক জন পুণ্যার্থী। ১৪ জন পুণ্যার্থী আহত হয়েছেন বলে পিটিআই জানিয়েছে।
বৈষ্ণোদেবী মন্দির কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, বেশ কয়েক জন আহত পুণ্যার্থীকে উদ্ধার করে কাটরার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ধসের পর পরই মন্দির কমিটির সদস্যেরা, নিরাপত্তাবাহিনী উদ্ধারকাজ শুরু করে। যাত্রাপথে থাকা অন্য পুণ্যার্থীদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই ঘটনার জেরে বৈষ্ণোদেবী যাত্রা আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ধারালি, কিষ্টওয়ার, কাঠুয়ার পর মঙ্গলবার ডোডা জেলায় মেঘ ভাঙা বৃষ্টি হয়েছে। তলিয়ে গেছে কমপক্ষে দশটি বাড়ি।
প্রবল বৃষ্টির জেরে কাটরা-সাঙ্গার রেলস্টেশনে ভূমিধসের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। যে কারণে রেল পরিষেবা সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু আবহাওয়া ক্রমশ খারাপের দিকে যাওয়ায় কঠিন হয়ে পড়ছে উদ্ধারকাজ। জম্মু অঞ্চলের বিভিন্ন নদী ও খালে জলস্তর ক্রমশ বেড়ে যাওয়ায় বড় অংশে বন্যা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জম্মু শহরের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া টাউই নদী উধমপুরে বিপজ্জনক সীমা অতিক্রম করেছে বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে মৌসম ভবন জানিয়েছে, আগামী ৪০ ঘণ্টায় জম্মু বিভাগে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। ভারী বর্ষণে চেনাব ও রবি নদীর জল বাড়তে থাকার কারণে ভারত ইতিমধ্যেই পাকিস্তানকে সম্ভাব্য বন্যা সম্পর্কে জানিয়েছে। ভূমিধসের কারণে শ্রীনগর–জম্মু জাতীয় সড়ক বন্ধ রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসেই মেঘ ভাঙা বৃষ্টি-বন্যায় প্রাণ গিয়েছে অন্তত ৬০ জনের। তার মাঝেই ফের ভয়াবহ পরিস্থিতি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন