ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন আগামী ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সর্বশেষ ডাকসু নির্বাচন হয়েছিল ২০১৯ সালের ১১ মার্চ। দীর্ঘ ৬ বছর পর আবারও এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
ডাকসু হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্বকারী কেন্দ্রীয় সংসদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধি দিয়ে গঠিত এই সংসদ ছাত্রদের দাবি-দাওয়া, অধিকার আদায়, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বরাত দিয়ে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করবে পুলিশ বাহিনী। ইতোমধ্যেই টহল টিমসহ সংশ্লিষ্ট শাখা সক্রিয় রয়েছে।
ভোটের দিনে আটটি ভোটকেন্দ্রে তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয় থাকবে।
-
প্রথম স্তরে থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি সদস্য ও প্রক্টরিয়াল টিম।
-
দ্বিতীয় স্তরে পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
-
তৃতীয় স্তরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতটি প্রবেশপথে সেনাবাহিনী ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স’ হিসেবে অবস্থান করবে।
প্রয়োজন হলে সেনাসদস্যরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করবেন। ভোট শেষে ফলাফল ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত সেনারা ভোটকেন্দ্র ঘিরে রাখবেন। এছাড়া ভোট গণনার সময় শুধুমাত্র অনুমোদিত ব্যক্তিরাই প্রবেশ করতে পারবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নির্বাচনের সাত দিন আগে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে কোনো বহিরাগত থাকতে পারবে না। নিয়মিত টহল পরিচালনার মাধ্যমে এ ব্যবস্থা কার্যকর হবে। তবে ছাত্রীদের হলে বহিরাগতদের প্রবেশ সবসময়ই নিষিদ্ধ।
নির্বাচনের আগের দিন (৮ সেপ্টেম্বর) ও নির্বাচনের দিন (৯ সেপ্টেম্বর) মেট্রোরেলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন বন্ধ থাকবে। নির্বাচন চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পুরোপুরি সিলগালা থাকবে। বৈধ শিক্ষার্থী, অনুমোদিত সাংবাদিক ও নির্বাচন পরিচালনায় যুক্ত ব্যক্তিরা ছাড়া অন্য কেউ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবেন না।
ক্যাম্পাসের বাইরে থাকা শিক্ষার্থীদের ভোটদানের সুবিধার্থে বিভিন্ন রুটে বাসের অতিরিক্ত ট্রিপ চালু করা হবে। এসব বাস নির্বিঘ্নে চলাচল নিশ্চিত করতে পুলিশের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা দেওয়া হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন