চিত্রকার এবং লেখকেরা অনুভব করেছিলেন যে শিল্পায়ন এবং শহুরীকরণ মানুষকে ব্যক্তিহীন ও যান্ত্রিক করে তুলছে। তারা কেবল বাহ্যিক জগতকে বাস্তবধর্মীভাবে উপস্থাপন না করে গভীর মনোভাব, আবেগ এবং ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাকে তুলে ধরতে চেয়েছিলেন। এই আন্দোলন তরুণ প্রজন্মের জন্যও একটি পথ তৈরি করেছিল, যাতে তারা ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক মূল্যবোধকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে এবং নতুন, অগ্রসরধর্মী (Avant - grade) অভিব্যক্তির রূপ অনুসন্ধান করতে পারে।
সূচনা :
এই German expressionism এর সর্বপ্রথম নিদর্শন পাওয়া যায় চিত্রকলা ও সাহিত্যে। এবং পরবর্তীকালে তা ধীরে ধীরে নাট্যকলা, চলচ্চিত্র এবং স্থাপত্যের মধ্যে দেখা যেতে শুরু করে।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের (1914 - 1918) পর জার্মানী অর্থনৈতিক সঙ্কটের মুখে পড়েছিলো। এবং ফিল্ম স্টুডিওগুলোর কাছে বাস্তবসম্মত সেট তৈরির জন্য বড় বাজেটের অভাব ছিল। এর পরিবর্তে, মানসিকতা ও পরিবেশের গভীরতা ফুটিয়ে তুলতে হাতে আঁকা পটভূমি, কৃত্রিম আলোকসজ্জা এবং অতিরঞ্জিত সেট ডিজাইন ব্যবহার করা হতো। German expressionism প্রভাবিত হয়েছিলো বেশ কিছু চিত্রকর এর হাত ধরে, যারা সাধারণত তাদের চিত্রকলায় বাস্তবতাকে অস্বীকার করতে উজ্জ্বল রং, বিকৃত আকার ও তীব্র আবেগ ব্যবহার করত। বেশ কিছু কারণের ফলে এই আন্দোলনের সূত্রপাত হয়েছিল। শিল্পায়ন ও শহুরীকরণের প্রতি প্রতিক্রিয়া জানাতে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের (1914 - 1918) প্রভাব এর ফলে। বাস্তববাদ ও প্রথাগত শিল্পের প্রত্যাখ্যান। রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিতিশীলতা (ওয়াইমার প্রজাতন্ত্র, 1919 – 1933)। মানসিক ও দার্শনিক প্রভাব।
German expressionism এর উদ্ভব হয়েছিল আধুনিকায়ন, যুদ্ধজনিত মানসিক আঘাত এবং সামাজিক উদ্বেগের প্রতিক্রিয়া হিসেবে। এটি বাস্তববাদের পরিবর্তে আবেগ, বিমূর্ততা ও মানসিক গভীরতাকে প্রাধান্য দিয়েছিল। এটি পরবর্তীতে ভৌতিক চলচ্চিত্র, ফিল্ম নোয়ার এবং অতিবাস্তববাদী সিনেমাকে প্রভাবিত করেছিল।
বেশ কিছু চিত্রকর এবং তাদের চিত্রকলা যা এই আন্দোলনকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করেছিলো :
The scream, 1893 by Edvard Munch
The starry night, 1889 by Vincent Van Gogh
Christ's entry into brussles, 1888 by James Ensor
Self - portrait with physalis, 1912 by Egon Schiele
The kiss, 1907 - 08 by Gustav Klimt
এছাড়াও German expressionism প্রধানত কিছু সাহিত্যিক চিন্তাবিদদের দ্বারা গঠিত হয়, যারা ব্যক্তিত্ব, মনস্তাত্ত্বিক সংকট এবং বিকৃত বাস্তবতার ধারণাগুলিকে অন্বেষণ করেছেন। মূল প্রভাবের মধ্যে রয়েছে দার্শনিক Friedrich Nietzsche এর চিন্তা, যিনি ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য, আত্মনির্ভরতা এবং মানুষের অবস্থান নিয়ে কাজ করেছেন। এবং Fyodor Dostoevsky র উপন্যাসের মনস্তাত্ত্বিক গভীরতা। এই দার্শনিক ধারণাগুলি এক্সপ্রেশনিস্ট শিল্পীদের মধ্যে প্রতিফলিত হয়েছে, যারা তাদের শিল্পের মাধ্যমে তীব্র আবেগ এবং আধুনিক সমাজের সমালোচনাকে প্রকাশ করেছেন।
German expressionism এর বেশ কয়েকটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এই সমস্ত চলচ্চিত্র গুলিতে শিল্পীরা সাধারণত খাঁজকাটা, বিকৃত রেখা ও আকার ব্যবহার করতেন, যাতে অস্বস্তি ও আবেগের তীব্রতার অনুভূতি তৈরি হয়। শহুরে দৃশ্য ও সমকালীন বিষয় উপস্থাপন করার জন্য কঠোরতা, সাহসিকতা এবং দৃষ্টিনন্দন তীব্রতা, যেখানে খসখসে দ্রুত ব্রাশের আঁচড় ও অসামঞ্জস্যপূর্ণ রঙের ব্যবহার করা হতো। চলচ্চিত্র গুলিতে Chiaroscuro লাইটিং টেকনিক ব্যবহার করা হতো যেখানে আলো এবং অন্ধকারের মধ্যে একটা তীব্র বিপরীত্য দেখা যেতো যা মানসিক গভীরতা এবং একটা রহস্যময় পরিবেশের সৃষ্টি করতো। সেট ডিজাইনাররা পেছনের দৃশ্যপট আঁকতেন যেখানে বিকৃত কক্ষ ও বেঁকে যাওয়া আকাশরেখা তৈরি করা হতো, যা স্বপ্নময়, অন্য জগতের পরিবেশ গড়ে তুলতে সহায়তা করত। এই আন্দোলন কেবলমাত্র বাস্তবতার প্রতিফলনের ওপর গুরুত্ব না দিয়ে মূলত শিল্পীর অন্তরের অনুভূতি ও ভাবনা প্রকাশের উপর গুরুত্ব দিত। প্রায়ই এটি মানব অবস্থা ও সামাজিক সমালোচনার মতো বিষয় অনুসন্ধান করত।
German expressionism এর বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ চিত্র পরিচালক এবং তাদের চলচ্চিত্র গুলির মধ্যে রয়েছে -
F. W. Murnau - Nosferatu (1922), Faust (1926), The last laugh (1924)
Firtz Lang - Metropolis (1927), M (1931), Dr. Mabuse, the gambler (1922)
Robert Wiene - The cabinet of Dr. Caligari (1920), The hands of orlac (1924)
Paul Wegener - The golem: How he come into the world (1920)
Paul Leni - Waxworks (1924), The man who laughs (1928)
Arthur Robinson - Warning shadows (1923)
জার্মান এক্সপ্রেশনিজম চলচ্চিত্র আন্দোলনের প্রভাব :
German expressionist চলচ্চিত্র আন্দোলন (1920 – 1930) বিশ্ব সিনেমার উপর গভীর প্রভাব ফেলেছিল, যা একাধিক ধারাকে, ভিজ্যুয়াল স্টাইলকে এবং গল্প বলার কৌশলকে প্রভাবিত করেছিল।
হরর সিনেমায় প্রভাব
এই আন্দোলনের অতিরঞ্জিত সেট, গভীর ছায়া এবং ভৌতিক আলোকসজ্জা হরর ধারাকে তীক্ষ্ণ করে তোলে। ইউনিভার্সালের Dracula (1931), Frankenstein (1931) এবং The Mummy (1932) তার গথিক নান্দনিকতা গ্রহণ করেছিল।
ফিল্ম নোয়ারের জন্ম
উচ্চ-কনট্রাস্ট আলোকসজ্জা (কিয়ারোস্কিউরো), কাত হওয়া অ্যাঙ্গেল এবং মনস্তাত্ত্বিক থিম ফিল্ম নোয়ারকে প্রভাবিত করেছিল। The matles falcon (1941) এবং Double indemnity (1944) এর মতো ক্লাসিক নোয়ার ফিল্মে এই শৈল্পিক উপাদানগুলি গ্রহণ করে। Blade runner (1982) এবং Sin city (2005) এর মতো নিও-নোয়ার চলচ্চিত্রেও এই প্রভাব দেখা যায়।
সায়েন্স-ফিকশন ও ডিস্টোপিয়ান সিনেমায় প্রভাব
Metropolis (1927) বিশাল ডিস্টোপিয়ান শহুরে দৃশ্যপট এবং ভবিষ্যতবাদী থিম উপস্থাপন করেছিল। Blade runner (1982), The fifth element (1927) এবং Dark city (1998) -র মতো চলচ্চিত্র তার ভিজ্যুয়াল ওয়ার্ল্ড-বিল্ডিং থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েছে।
মনস্তাত্ত্বিক ও স্যুররিয়াল গল্প বলার কৌশল
The cabinet of Dr. Caligari (1920), M (1931) এর মতো চলচ্চিত্র পাগলামি, সন্দেহপ্রবণতা এবং মনস্তাত্ত্বিক ভয়ের বিষয় অন্বেষণ করেছে।
১৯৩০-এর দশকে বহু জার্মান এক্সপ্রেশনিস্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা নাৎসি জার্মানি থেকে পালিয়ে হলিউডে আসেন এবং তাঁদের শৈলী সঙ্গে নিয়ে আসেন। Firtz Lang আমেরিকান ক্রাইম ও থ্রিলার চলচ্চিত্রকে প্রভাবিত করেছিলেন। এবং F. W. Murnau উন্নত সিনেমাটোগ্রাফি কৌশল প্রবর্তন করেছিলেন। আধুনিক সিনেমায় স্থায়ী প্রভাব যা এখনও পর্যন্ত বর্তমান।
জার্মান এক্সপ্রেশনিজম দ্বারা সবচেয়ে প্রভাবিত পরিচালক :
Alfred Hitchcock (Master of Suspense)
হলিউডের অন্যতম প্রথম দিকের পরিচালক যিনি এক্সপ্রেশনিস্ট সিনেমাটোগ্রাফি এবং মানসিক গল্প বলার ধারা গ্রহণ করেছিলেন।
তার সবচেয়ে এক্সপ্রেশনিস্ট চলচ্চিত্র:
Psycho (1960)
Shadow of a Doubt (1943)
The Lodger (1927)
Orson Welles (Film Noir এবং Visual Expressionism)
ছায়া-প্রধান সিনেমাটোগ্রাফি, গভীর ফোকাস এবং এক্সপ্রেশনিস্ট প্রভাবিত সেট ডিজাইন ব্যবহার করেছেন তার চলচ্চিত্রে।
তার সবচেয়ে এক্সপ্রেশনিস্ট চলচ্চিত্র:
Citizen Kane (1941)
The Trial (1962)
David Lynch (Master of Surreal and Psychological Horror)
বিকৃত দৃষ্টিকোণ, স্বপ্নময় ভয়াবহতা এবং জার্মান এক্সপ্রেশনিজম-এর অন্ধকার স্যুররিয়ালিজম দ্বারা সরাসরি প্রভাবিত।
তার সবচেয়ে এক্সপ্রেশনিস্ট চলচ্চিত্র:
Eraserhead (1977)
Mulholland Drive (2001)
Twin Peaks (1990 - 91)
Tim Burton (Gothic Expressionism in Hollywood)
গথিক এবং জার্মান এক্সপ্রেশনিজম-এর অতিবাস্তব ভিজুয়াল দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত।
তার সবচেয়ে এক্সপ্রেশনিস্ট চলচ্চিত্র:
Batman Returns (1992)
Edward Scissorhands (1990)
The Nightmare Before Christmas (1993)
Christopher Nolan (Psychological Realism with Expressionist Influence)
তার সবচেয়ে এক্সপ্রেশনিস্ট চলচ্চিত্র:
The Dark Knight (2008)
Inception (2010)
The Prestige (2006)
Robert Eggers (Modern Expressionist Horror Filmmaker)
এক্সপ্রেশনিস্ট হররকে পুনর্জীবিত করেছেন: তীব্র আলো, অন্ধকার আলোছায়া এবং মনস্তাত্ত্বিক ভয়ের উপাদান ব্যবহার করেছেন তার চলচ্চিত্রে।
তার সবচেয়ে এক্সপ্রেশনিস্ট চলচ্চিত্র:
The Lighthouse (2019)
The Witch (2015)
Darren Aronofsky (Dark Psychological and Horror Filmmaker)
এক্সপ্রেশনিজম-প্রভাবিত মনস্তাত্ত্বিক ভয় এবং তীব্র সিনেমাটোগ্রাফি ব্যবহার করেছেন।
তার সবচেয়ে এক্সপ্রেশনিস্ট চলচ্চিত্র:
Black Swan (2010)
Pi (1998)
Guillermo Del Toro (Modern Gothic, Horror and Fantasy)
গথিক হরর, আলো-ছায়ার ব্যবহার এবং জার্মান এক্সপ্রেশনিজম-এর অতিবাস্তববাদ দ্বারা প্রভাবিত।
তার সবচেয়ে এক্সপ্রেশনিস্ট চলচ্চিত্র:
Pan’s Labyrinth (2006)
Crimson Peak (2015)
The Shape of Water (2017)
Terry Gilliam (Dystopian and Surreal Filmmaker)
ডিস্টোপিয়ান বিশৃঙ্খলা, বিকৃত ভিজুয়াল এবং স্বপ্নময় গল্প বলার জন্য পরিচিত, যা Metropolis-এর স্মরণ করিয়ে দেয়।
তার সবচেয়ে এক্সপ্রেশনিস্ট চলচ্চিত্র:
Brazil (1985)
12 Monkeys (1995)
ভারতীয় পরিচালকরা যারা জার্মান এক্সপ্রেশনিজম দ্বারা প্রভাবিত :
Guru Dutt (Master of light and shadow in Indian cinema)
Chiaroscuro (আলো-আঁধারির কনট্রাস্ট) লাইটিং, গভীর ছায়া এবং আবেগঘন পরিবেশের জন্য পরিচিত, যা ফিল্ম নয়ার এবং এক্সপ্রেশনিজমের মতো।
তার সবচেয়ে এক্সপ্রেশনিস্ট চলচ্চিত্র:
Pyaasa (1957)
Kaagaz Ke Phool (1959)
Sahib Bibi Aur Ghulam (1962)
Satyajit Ray
যদিও তিনি মূলত বাস্তববাদী সিনেমার জন্য পরিচিত, তবুও কিছু চলচ্চিত্রে এক্সপ্রেশনিস্ট আলো ব্যবহার এবং মানসিক গভীরতার প্রকাশ করেছেন।
তার সবচেয়ে এক্সপ্রেশনিস্ট চলচ্চিত্র:
Jalsaghar (1958)
Pratidwandi (1970)
Nayak (1966)
Bimal Roy
সামাজিক সচেতন চলচ্চিত্রে এক্সপ্রেশনিস্ট ধাঁচের আলো ব্যবহার এবং ভিজ্যুয়াল রূপক (visual metaphors) প্রয়োগ করেছেন।
তার সবচেয়ে এক্সপ্রেশনিস্ট চলচ্চিত্র:
Madhumati (1958)
Devdas (1955)
Ritwik Ghatak (Melodrama এবং Expressionist Art Aesthetics)
তার চলচ্চিত্রে এক্সপ্রেশনিস্ট ভিজ্যুয়াল, বিকৃত ফ্রেমিং এবং প্রবল আবেগ প্রকাশ করেছেন।
তার সবচেয়ে এক্সপ্রেশনিস্ট চলচ্চিত্র:
Meghe Dhaka Tara (1960)
Subarnarekha (1965)
Shyam Benegal (Indian parallel cinema with Expressionist elements)
প্রায়ই গাঢ় ছায়া, মানসিক গভীরতা এবং স্টাইলাইজড সিনেমাটোগ্রাফি ব্যবহার করেছেন।
তার সবচেয়ে এক্সপ্রেশনিস্ট চলচ্চিত্র:
Manthan (1976)
Ankur (1974)
Anurag Kashyap (Indian Neo-Noir with Expressionist Visuals)
এক্সপ্রেশনিস্ট লাইটিং, অতিবাস্তব গল্প বলার ধারা এবং মানসিক টানাপোড়েন ব্যবহার করেছেন।
তার সবচেয়ে এক্সপ্রেশনিস্ট চলচ্চিত্র:
No Smoking (2007)
Raman Raghav 2.0 (2016)
জার্মান এক্সপ্রেশনিজমের সমাপ্তির মূল কারণসমূহ :
যদিও German expressionism একটি স্বতন্ত্র আন্দোলন হিসেবে শেষ হয়ে যায়, তবুও এর প্রভাব বিশ্ব সিনেমায় এখনও বর্তমান রয়েছে।
নাৎসি শাসনের উত্থান (1933)
নাৎসিরা এক্সপ্রেশনিস্ট চলচ্চিত্রগুলোকে সেন্সর বা নিষিদ্ধ করে, ফলে অনেক চলচ্চিত্র নির্মাতাকে জার্মানি ছাড়তে বাধ্য করা হয়।
অর্থনৈতিক পতন (1929)
গ্রেট ডিপ্রেশন (The Great Depression) এর সময় ব্যয়বহুল, স্টাইলাইজড চলচ্চিত্র তৈরি করা অসম্ভব হয়ে পড়ে।
বাস্তববাদ ও শব্দচিত্রে স্থানান্তর
চলচ্চিত্রশিল্প বাস্তবধর্মী গল্প বলার দিকে ঝুঁকে পড়ে এবং এক্সপ্রেশনিজমের অতিরঞ্জিত স্টাইলকে প্রত্যাখ্যান করে।
চলচ্চিত্র নির্মাতাদের দেশত্যাগ
Firtz Lang এবং F. W. Murnau র মতো গুরুত্বপূর্ণ পরিচালকরা জার্মানী ছেড়ে হলিউডে চলে যান এবং তাদের সঙ্গে এক্সপ্রেশনিস্ট কৌশল নিয়ে যান।
হলিউডে এক্সপ্রেশনিজমের শোষণ
এক্সপ্রেশনিস্ট আলো-ছায়া, সেট ডিজাইন এবং মনস্তাত্ত্বিক থিম হলিউডের ফিল্ম নোয়ার ও হরর চলচ্চিত্রের অংশ হয়ে যায়, যার ফলে জার্মানিতে আন্দোলনের সমাপ্তি ঘটে।
জার্মান এক্সপ্রেশনিজম আসলে সত্যিকারের "শেষ" হয়ে যায়নি, বরং তা অন্য ধরণের চলচ্চিত্রশৈলীতে রূপান্তরিত হয়েছে— বিশেষ করে হলিউডের ফিল্ম নোয়ার এবং হরর-এ। রাজনৈতিক দমনপীড়ন, অর্থনৈতিক কষ্ট ও প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের কারণে এর পতন ঘটে, কিন্তু এর প্রভাব আজও সিনেমায় প্রবলভাবে বিদ্যমান।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন