এখনও একাধিক জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। সেই কারণে পুরোদমে তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে সেনা তরফে জানান হয়েছে , গোয়েন্দা সূত্রে খবর আসে যে কুলগামের জঙ্গলে কয়েকজন জঙ্গি ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই শুরু হয় 'অপারেশন অখল' (Operation Akhal)।
অভিযানের শুরুতেই জঙ্গিরা সেনার উপস্থিতি টের পেয়ে গুলিবর্ষণ শুরু করে। পালটা জবাব দেয় সেনাও। সেই গুলির লড়াইয়েই মারা যায় এক জঙ্গি। তবে সেনার দাবি, পুরো অঞ্চল এখনও নিরাপদ নয়। জঙ্গি দমনে অভিযান জারি থাকবে। এর আগে, সোমবার 'অপারেশন মহাদেব'-এর মাধ্যমে পহেলগাঁও হামলার মূল অভিযুক্ত তিন জঙ্গি - সুলেমান, আফগান এবং জিবরানকে নিকেশ করে সেনা। গত তিন মাস ধরে ওই জঙ্গিরা আত্মগোপনে ছিল। কিন্তু সম্প্রতি মুসা নামে এক জঙ্গি একটি টি-৮২ আল্ট্রাসেট কমিউনিকেশন ডিভাইস চালু করে। সেই ডিভাইসের মাধ্যমেই জঙ্গিদের লোকেশন ট্র্যাক করে অপারেশন চালায় সেনা। উদ্ধার করা হয় পহেলগাঁওয়ে পর্যটক হত্যায় ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রও। মঙ্গলবার লোকসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, ' জম্মু-কাশ্মীরে ভারতীয় সেনা ও পুলিশের তৎপরতায় কোনও জঙ্গিই পালিয়ে যেতে পারেনি (Operation Akhal)।
পহেলগাঁও হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। এটি সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ের বড় সাফল্য।' বলা বাহুল্য, গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছিল। তাতে মৃত্যু হয়েছিল ২৬ জনের। তার পর পাকিস্তানের সঙ্গে সশস্ত্র সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ভারত, যার ফলে এখনও দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তলানিতে। পহেলগাঁও হামলার তিন মাস পর সম্প্রতি ওই ঘটনায় জড়িত তিন জঙ্গিকে হত্যা করেছে সেনা। সেনার পর পর দুটি অভিযান 'অপারেশন মহাদেব' এবং 'অপারেশন অখল' কাশ্মীর উপত্যকায় জঙ্গি দমনে ভারতের সক্রিয় অবস্থানকে আরও জোরালো করে তুলল। পরিস্থিতি এখনও উত্তেজনাপূর্ণ, তবে সেনা নিশ্চিত করেছে, উপত্যকায় শান্তি ফিরিয়ে আনতেই এই ধারাবাহিক অভিযান (Operation Akhal)।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন