প্রতি বছরের মতো এইবার বৃষ্টির জন্য চাতক চেয়ে বসে থাকতে
হয়নি পশ্চিমবঙ্গবাসীকে বরং প্রয়োজনের অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতই দেখেছে রাজ্য। বৈশাখের শুরু
থেকেই ঘামে ভেজা গরমের স্বল্প দিনের মধ্যে স্বস্তি এনে দিয়েছিল টুকরো টুকরো বৃষ্টি,
আর বর্ষা পেরিয়ে শরতের মাঝামাঝি পর্যন্ত এখনও সেই বৃষ্টির দাপট কিছুমাত্র ফিকে হয়নি।
নিম্নচাপের ভ্রুকুটি নাকি এবার থাকবে গোটা শারদীয়াজুড়ে।
শহরের অলিগলি জলমগ্ন থাকায় দুর্ভোগ সকল সাধারণ মানুষের, যার
আঁচ পড়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যেও। বিগত বহু বছরের রেকর্ডভাঙা
বর্ষণে আজ সকালের ডুবন্ত শহরে মানুষের জলবন্দি দশা দেখে উদ্বিগ্ন তিনি। ছোটো ছোটো স্কুল
শিক্ষার্থীদের এই প্রতিকুল আবস্থার শিকার হওয়া থেকে রুখতে তাদের কথা ভেবে মাননীয়ার
মতানুসারে স্কুল শিক্ষাদপ্তর পুজোর ছুটির বিজ্ঞপ্তি দেয় সরকারি স্কুলগুলিতে, বেসরকারি
স্কুলগুলিতেও আগামী দুদিন ছুটির ব্যাবস্থা করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। এছাড়াও পরিবহণ
পরিষেবার বেহাল দশা দেখে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়াদের সুবিধার্থে অনলাইল ক্লাস চালানোর
পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
অপরদিকে, বিশ্ববিদ্যালায় ক্যাম্পাসগুলিও বৃষ্টির জমা জলে
ডুবন্তপ্রায় অবস্থায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। কোলকাতার অন্যতম নিচু এলাকা কলেজস্ট্রিট চত্বরে
আবস্থিত প্রেসিডেন্সি ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েও জলে নাজেহাল পরিস্থিতি। ফলে কলকাতা
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে আজকের প্র্যত্যাশিত সমস্ত বিভাগীয় পরীক্ষাগুলি বাতিল
করা হয়েছে এবং উক্ত বাতিল পরীক্ষার ধার্য দিন স্বল্পদিনের মধ্যেই ঘোষিত হবে বলে দাবি করেছেন
তারা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েও অনুরুপ দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি থাকায় কর্তৃপক্ষদ্বারা
আজকের সমস্ত ক্লাস বন্ধ করার নির্দেশ জারি হয়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন