জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরও বাংলাদেশ থেকে দুর্নীতি পুরোপুরি বিলীন হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) চেয়ারম্যান ফ্রাঁসোয়া ভ্যালেরিয়াঁ। তিনি বলেন, দুর্নীতি এখনো আছে। তবে এটি বেড়েছে নাকি কমেছে—তা এখনই বলা অনেক তাড়াতাড়ি হবে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী সংস্থার চেয়ারম্যানের বাংলাদেশ সফর উপলক্ষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ফ্রাঁসোয়া ভ্যালেরিয়াঁ বলেন, স্বৈরশাসনের শেষ দিককার বছরগুলোতে দুর্নীতি ব্যাপকভাবে বেড়েছিল। তবে শাসনক্ষমতার পরিবর্তনের পরও দুর্নীতি পুরোপুরি নির্মূল হয়নি। তিনি আরও বলেন, প্রভাবশালী ও ক্ষমতাবান ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত দুর্নীতির মামলাগুলো যথাযথ বিচারিক প্রক্রিয়ায় নিয়ে গিয়ে চূড়ান্ত রায় দিতে হবে। এতে দুর্নীতি ধারণা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান উন্নত হবে।
সাংবাদিকদের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সাংবাদিক, নাগরিক সমাজের কর্মী ও মানবাধিকারকর্মীরা যদি হয়রানি, হুমকি কিংবা সহিংসতার মধ্যে থাকেন, তবে ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। গণতন্ত্রের জন্য সাংবাদিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা জরুরি।
বাংলাদেশ সফর প্রসঙ্গে টিআই চেয়ারম্যান জানান, তাঁর দক্ষিণ এশিয়ার তিন দেশ সফরের শেষ গন্তব্য বাংলাদেশ। এর আগে তিনি মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কা পরিদর্শন করেন। এই সফর কেবল প্রতীকী নয়; বরং বৈশ্বিক দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনের প্রতি সমর্থন ও সংহতি জানানোর উদ্দেশ্যেও।
এদিকে সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বিদেশে অর্থ পাচার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। যদি বাইরে টাকা পাঠানোর সুযোগ না থাকে, তাহলে পাচারকারীরা সুযোগ পাবেন না। এজন্য প্রযোজ্য আইনগুলো আরও শক্তভাবে প্রয়োগ করতে হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন