পুজোয় ভিড়ের সময় দর্শকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রকাশিত হলো একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (এসওপি)। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এই নির্দেশিকা তৈরি করেছে খড়্গপুর আইআইটির বিশেষজ্ঞ দল। কলকাতা পুরসভা ও বিভিন্ন পুজো কমিটি আলোচনার পর এসওপি-কে চূড়ান্ত করে। ইউনেস্কো এবং রাজ্য তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরও এতে অনুমোদন দিয়েছে।
মণ্ডপে প্রবেশ ও প্রস্থান
প্রবেশদ্বার থেকে অন্তত ৩০ মিটার দূরে গাড়ির ড্রপ অফ/পিক-আপ পয়েন্ট রাখতে হবে।
মণ্ডপের প্রবেশপথের প্রস্থ ১.৫ থেকে ১.৮ মিটার হতে হবে।
প্রবেশে সিঁড়ি রাখা যাবে না; র্যাম্প ও হাতলের ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক।
প্রবেশ ও প্রস্থানের পথে বাধাহীন চলাচলের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
প্রবেশ ও বেরনোর আলাদা পথ নির্দিষ্ট করতে হবে।
দর্শনার্থীদের সুবিধা
মণ্ডপের কাছে অন্তত একটি শৌচাগার ও পানীয় জলের ব্যবস্থা।
বয়স্ক ও হুইলচেয়ার ব্যবহারকারীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা।
পুষ্পাঞ্জলির জন্য নির্দিষ্ট জায়গা এবং প্রসাদ বিতরণের আলাদা কাউন্টার।
স্বেচ্ছাসেবক ও নিরাপত্তা
ভলান্টিয়ারদের সংযত ভাষা ও শিষ্টাচার বজায় রাখতে হবে।
প্রতিটি মণ্ডপে হেল্প-ডেস্ক ও প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক থাকতে হবে।
জরুরি অবস্থায় ব্যবহারের জন্য পুলিশ, দমকল ও হাসপাতালের নম্বর দৃশ্যমান স্থানে রাখতে হবে।
তথ্য ও নির্দেশিকা
বাংলা, ইংরেজি ও হিন্দিতে সাইনেজ রাখতে হবে।
তিন ভাষাতেই ঘোষণা করার ব্যবস্থা থাকতে হবে।
বেরনোর পথগুলো আলাদা বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে আলোকিত রাখতে হবে।
প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক।
বিশেষ বার্তা
ইউনেস্কো সাউথ এশিয়া রিজিওনাল অফিসের অধিকর্তা টিম কাটিস বলেন,
“দুর্গাপুজো সর্বজনীন উৎসব। তাই সবার জন্য নিরাপদ ও আনন্দময় পরিবেশ তৈরি করা পুজো কমিটিগুলোর দায়িত্ব।”
কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন,
“আমাদের দুর্গাপুজো ইউনেস্কোর ইনট্যাঞ্জিবল হেরিটেজ স্বীকৃতি পেয়েছে। একদিন কলকাতার দুর্গাপুজো রিও ফেস্টিভ্যালের মতো বিশ্বজনীন হয়ে উঠবে।”

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন