Top News

রাজধানীতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, তদন্তে গোটা প্রশাসন; কতদূর ছড়িয়ে আছে সন্ত্রাসের ছায়া


দিল্লির লালকেল্লা সংলগ্ন মেট্রো স্টেশনে গত সোমবার সন্ধ্যা ছয়টা নাগাদ ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। খবর সূত্র জানা গেছে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ২০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। 

খবর সূত্রে জানা গেছে গত সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিট থেকে ৭ টার মধ্যে দিল্লি, লালকেল্লা মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ধীর গতির গাড়িতে বিস্ফোরণটি ঘটে। গাড়িটি ছিল হুন্ডাই আই ২০। বিস্ফোরণের অভিঘাত এতটাই প্রবল ছিল যে আশেপাশে বেশ কয়েকটি গাড়ি ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৮ জনের, পরবর্তীকালে চিকিতসাদ্ধীন অবস্থায় আরও কিছু জনের মৃত্যু হয়। ঘটনা পরবর্তী সময়ে সেখানে এনএসজি, এন আই এ এবং ফরেনসিক দল পৌঁছে যায়। দিল্লি বিস্ফোরণ কাণ্ডের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জরুরি বৈঠক ডাকেন এবং এবং মন্ত্রীসভা বৈঠক শেষে ১০ই নভেম্বরের ঘটনাকে সন্ত্রাসবাদী হামলা হিসেবে চিহ্নিত করে। 

লাল কেল্লা সংলগ্ন আলাকায় বিস্ফোরণ কান্ডে দিল্লি পুলিশ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য উমর মোহাম্মদ, যিনি পেশায় ডাক্তার। ফরেনসিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে বিস্ফোরণের সময় উমরই ছিলেন ড্রাইভার আসনে। তাকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সদস্য সহ চিহ্নিত করা হয়েছে। সূত্র মারফত খবর পাওয়া গেছে ,অক্টোবর মাসে ইন্টেলিজেন্স টিম এর কাছে একটি খবর আসে যে কাশ্মীরের একটি দল তৈরি হচ্ছে। অনুমান বশত তারা সেখানে তল্লাশি চালায় এবং আদিল আহমেদকে গ্রেফতার করে। এই আদিল আহমেদও পেশায় একজন চিকিৎসক। তাকে জেরা করে নাম উঠে আসে মোজাম্মেল আহমেদ , যিনি ফরিদাবাদে একটি হাসপাতালে চিকিৎসক। এই চিকিৎসকের বাড়িতে তল্লাশি করে ৩৮০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার করা গেছে। এছাড়াও নাম উঠে আসছে মাকসুদ আহমেদ দার, জামির আহমেদ , শাহীন সাঈদ । শাহীন সাঈদ একজন মহিলা চিকিৎসক যিনি জাইশ-এর মহিলা উইং-এর সঙ্গে যুক্ত বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্ত কারী দল। 

এখনো পর্যন্ত দিল্লি বিস্ফোরণ কাণ্ডে ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং ১২জন কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে চারটি শহরে বিস্ফোরণের ছক কষা হচ্ছিল। যদিও দিল্লি পুলিশ অনুমান করেছে যে দিল্লি বিস্ফোরণ ঘটনাটি পরিকল্পিত ছিল না এটি ভুলবশত ঘটেছে পরিকল্পনা ছিল আরো বড় কিছু করার। 

বুধবার পুলিশ আল ফলাহ বিশ্ববিদ্যালয় এবং আশেপাশের অঞ্চলগুলিতে তল্লাশি চালায়। কারণ বিস্ফোরণে যুক্তর ড. উমর এখানে জুনিয়র ডাক্তার ছিলেন এবং আরো দুজন অভিযুক্ত এই বিশ্ববিদ্যালয় কাজ করতেন।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন