Top News

'অবৈধ নির্বাচন কমিশনের' তফসিল বাতিল করল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, নির্বাচনের আগে সংঘাত তুঙ্গে

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার পরদিনই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ (Bangladesh Awami League) একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশ করে নির্বাচনী তফসিল বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছে। তাদের অভিযোগ, 'অবৈধ সরকারের অবৈধ নির্বাচন কমিশন' পক্ষপাতিত্বের অধীনে এই নির্বাচন পরিচালনা করছে এবং ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের দলকে নির্বাচনে অংশ নিতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের কড়া বিবৃতি:

বৃহস্পতিবার ঢাকার ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের সদর দফতর থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে দলটি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস-এর নেতৃত্বাধীন প্রশাসনকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছে:

তফসিল বাতিল: আওয়ামী লীগ “অবৈধ, দখলদার, খুনি-ফ্যাসিস্ট ইউনূস চক্রের অবৈধ নির্বাচন কমিশন” ঘোষিত নির্বাচনী সূচি গভীর পর্যালোচনা করে তা বাতিল ঘোষণা করেছে।

পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ: দলটির দাবি, বর্তমান প্রশাসন “সম্পূর্ণ পক্ষপাতদুষ্ট” এবং স্বচ্ছতা বা জনগণের ইচ্ছা প্রতিফলিত হতে পারে এমন পরিবেশ নিশ্চিত করতে অক্ষম।

দাবি ও হুঁশিয়ারি:

বাংলাদেশের সবচেয়ে ঐতিহাসিকভাবে বৈধ রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে নিজেদের তুলে ধরে আওয়ামী লীগ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দাবি জানিয়েছে:

নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার: তাদের ওপর আরোপিত সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।

রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি: সব রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্তি দিতে হবে।

মামলা প্রত্যাহার: “বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা, জাতীয় নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে সব মিথ্যা মামলা” প্রত্যাহার করতে হবে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার: “বর্তমান প্রতারক দখলদার সরকারকে সরিয়ে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করে অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দিতে হবে।”

বিবৃতিতে সতর্ক করে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ এবং দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণকে বাদ দিয়ে নির্বাচন করার চেষ্টা দেশ ও জাতিকে গভীর সংকটে ঠেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র।

নির্বাচনী প্রেক্ষাপট:

বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছে যে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দেশের এই প্রথম জাতীয় নির্বাচন আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। একই দিনে একটি ঐতিহাসিক গণতান্ত্রিক সংস্কার সনদের বিষয়ে গণভোটও হবে। আগস্ট ২০২৪-এ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর থেকেই ১৭ কোটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস নির্বাচন শেষে পদত্যাগ করবেন।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন