সংসদ অধিবেশন চলাকালীন নিজের আসনে বসে ই-সিগারেট ব্যবহারের অভিযোগ উঠলো তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) এক সাংসদের বিরুদ্ধে। এই গুরুতর অভিযোগ তুলে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে (Om Birla) লিখিতভাবে চিঠি দিয়েছেন বিজেপি নেতা তথা হামিরপুরের সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur)।
চিঠিতে যদিও অনুরাগ ঠাকুর ওই তৃণমূল সাংসদের নাম উল্লেখ করেননি, তবে তিনি দাবি করেছেন, অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেসের একজন সাংসদকে অধিবেশন কক্ষে নিজের আসনে বসে ই-সিগারেট ব্যবহার করতে দেখা গিয়েছে এবং সেখানে উপস্থিত অন্যান্য সাংসদেরা এর সাক্ষী।
একসময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর ডেপুটি হিসেবে দায়িত্ব সামলানো অনুরাগ ঠাকুর অভিযোগ করেছেন, ই-সিগারেট ভারতে নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও প্রকাশ্যে আইন ভেঙে ওই সাংসদ সংসদের গরিমা ও গণতন্ত্রের অমর্যাদা করেছেন।
বিজেপি নেতার মতে, সংসদের মতো পবিত্র স্থানে এমন কাণ্ডের কুপ্রভাব যুবসমাজের উপর পড়বে। তিনি স্পিকারকে ঘটনার যথাযথ তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট সাংসদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন, কারণ এটি সংসদের শৃঙ্খলাভঙ্গ।
স্পিকারের দ্বারস্থ অনুরাগ:
চিঠি লেখার আগে বৃহস্পতিবার লোকসভার জিরো আওয়ারে অনুরাগ ঠাকুর বিষয়টি স্পিকারের নজরে আনেন। তিনি জানতে চান, স্পিকার কি সংসদে ই-সিগারেট ব্যবহারে কোনো ছাড়পত্র দিয়েছেন? জবাবে ওম বিড়লা স্পষ্ট জানান, এমন কোনো অনুমতি তিনি দেননি। স্পিকার লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলে অনুরাগ এদিন চিঠি জমা দেন।
পাল্টা আক্রমণে তৃণমূল:
এদিকে, তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় (Saugata Roy) এই অভিযোগ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, তিনি অধিবেশন কক্ষের ভিতরে নয়, বাইরে ই-সিগারেট খেয়েছেন। সংবাদমাধ্যমের সামনে প্রবীণ এই সাংসদ বলেন, অধিবেশন কক্ষের বাইরের চত্বরের জন্য কোনো নিয়ম নেই এবং তিনি নিজের আসনে বসে কোনো কিছুই করেননি।
অন্যদিকে, তৃণমূলের আরেক সাংসদ কীর্তি আজাদ (Kirti Azad) এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, কারও বিরুদ্ধে এমন মন্তব্য করতে হলে নির্দিষ্ট প্রমাণ থাকা প্রয়োজন। কিন্তু অনুরাগ ঠাকুর তার অভিযোগের সপক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি। কীর্তি আজাদের অভিযোগ, বিজেপি নেতা এভাবে জিরো আওয়ারে সংসদের মূল্যবান সময় নষ্ট করছেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন