Top News

মা-মেয়ের জবানবন্দি: পিশাচের থেকেও ভয়ঙ্কর ধর্ষণের কাহিনি, 'বাবা রাতে নোংরা কাজ করত', জেঠও ছিল ধর্ষক!

উত্তর প্রদেশের মউ জেলার কোতোয়ালি থানা এলাকায় সম্পর্কের কলঙ্কজনক এক ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে, যেখানে একজন বাবা তার নিজের ১০ বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করছিল। একইসঙ্গে, নির্যাতিতা মেয়েটির মা-কে অর্থাৎ বাবার স্ত্রীকে ধর্ষণ করছিল তার স্বামীটির বড় ভাই বা জেঠ।

অভিযুক্ত জেঠ তার ভাইয়ের স্ত্রীর সঙ্গে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করত।

পুলিশের হাতে ধর্ষণের কিছু ছবি এসেছে। নির্যাতিতা মা শেষ পর্যন্ত থানায় পৌঁছেছেন এবং নিজের স্বামী ও জেঠের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মামলা নথিভুক্ত করেছে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে।

পুলিশ কেন বারবার রফা-দফা করতে চাইল?

জানা গেছে, নির্যাতিতা মহিলাটি এর আগেও বেশ কয়েকবার অভিযোগ জানানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু প্রশাসনিক পুলিশ কর্মকর্তারা প্রতিবারই বিষয়টি রফা-দফা ও আপস-মীমাংসার মাধ্যমে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। এই ঘটনাটি মউ জেলার শহর কোতোয়ালি এলাকার।

মহিলা অভিযোগ করেছেন, তাঁর স্বামীর সঙ্গে তাঁর জা-এর (স্বামীর বড় ভাইয়ের স্ত্রী) অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে, যা তিনি নিজের চোখে দেখে ফেলেছিলেন। এরপরই তাঁর স্বামী তাঁকে লাগাতার শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে শুরু করেন। এমনকি তাঁর জেঠও তাঁকে ধর্ষণ করেন।

যখন মেয়ের ওপর নেমে এল পাশবিকতা, মা গেলেন থানায়

ধর্ষণের এই পাশবিকতা কেবল স্ত্রীর ওপর থেমে থাকেনি। ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে তাঁর স্বামী ও জেঠ ব্যবসায়িক সম্পর্ক বাড়াতে অন্যান্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বাড়িতে পার্টি করতেন এবং অশ্লীলতা ছড়াতেন। স্ত্রী এর প্রতিবাদ করলে তাঁর ওপর হিংস্রতা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়া এবং মারধর করাটা নিত্যনৈমিত্তিক হয়ে উঠেছিল।

মহিলার ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায় যখন তাঁর স্বামী নিজের ১০ বছরের নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণ করতে শুরু করেন। এর আগেও একবার তিনি এই ঘটনার অভিযোগ পুলিশকে জানালে পুলিশ রফা-দফা করে বিষয়টি মিটিয়ে দেয়।

ইনজেকশন দিয়ে করা হতো গণধর্ষণ

মহিলার অভিযোগ, তাঁর স্বামী ও জেঠ দুজনে মিলে তাঁকে ইনজেকশন দিয়ে অচেতন করে তাঁর ওপর সম্মিলিতভাবে গণধর্ষণ করত।

শহর কোতোয়ালি থানায় পৌঁছে মহিলাটি যখন অভিযোগ দায়ের করেন, তখনই এই ভয়ংকর ঘটনা সামনে আসে। পুলিশ এই ঘটনায় এফআইআর (FIR) নথিভুক্ত করে তদন্ত শুরু করেছে। এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে নির্যাতিতা শিশুটি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, তার বাবা রাতে তাকে জামা-কাপড় ছাড়া পাশে নিয়ে ঘুমাতো এবং নোংরা কাজ করত।

স্বামী-জেঠ গ্রেপ্তার

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনুপ কুমার জানিয়েছেন, মউ জেলার শহর কোতোয়ালি এলাকায় একটি অত্যন্ত গুরুতর ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে, যেখানে একজন মহিলা এবং তাঁর ১০ বছরের মেয়ের সঙ্গে তাঁর স্বামী ও জেঠ ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় পুলিশ মামলা দায়ের করেছে। তদন্তের জন্য পুলিশের হাতে ঘটনার কিছু ভিডিও এবং ফটোগ্রাফিক প্রমাণ এসেছে। এই প্রমাণের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত স্বামী এবং জেঠের মধ্যে স্বামীকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন