Top News

গীতা পাঠের পর এবার ব্রিগেড মাতাবে 'হরিনাম সংকীর্তন'! মমতার মন্তব্যের পরই মতুয়াদের বড় ঘোষণা, কী আছে নেপথ্যে?

পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি ও ইতিহাসের অন্যতম সাক্ষী ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড ফের আলোচনায়। সম্প্রতি এই মাঠেই ৫ লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের অনুষ্ঠানের পর এবার ১ লক্ষ কণ্ঠে হরিনাম সংকীর্তন করার কথা ঘোষণা করল তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরপন্থী অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের গোসা পরিষদ। এই ঘোষণার পরই রাজ্যে ধর্মীয় ও রাজনৈতিক মেরুকরণের বিতর্ক আরও বেড়েছে।

বৃহস্পতিবার নদিয়ার সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গীতাপাঠের অনুষ্ঠানের প্রসঙ্গ তুলে ধর্মীয় মেরুকরণের অভিযোগ এনেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “গীতাপাঠের জন্য পাবলিক মিটিং করার কী আছে? ধর্ম মানে মানবতা, ধর্ম মানে শান্তি…”

মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের ঠিক একদিন পর শুক্রবার, নান্টু হালদার, অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের গোসা পরিষদের সভাপতি, সাংবাদিক বৈঠক করে এই ‘অরাজনৈতিক’ কর্মসূচির ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, “আমরা একটা অরাজনৈতিক কর্মসূচি করতে চাই। জানুয়ারি মাসেই কোনও একটা দিন নির্ধারিত হবে। লক্ষ কণ্ঠে হরিনাম সংকীর্তন হবে।”

হরিনাম সংকীর্তনের নেপথ্যে CAA ও ভোটার তালিকা

যদিও এই কর্মসূচিকে ‘অরাজনৈতিক’ বলে দাবি করেছেন নান্টু হালদার, কিন্তু এই আয়োজনের উদ্দেশ্য ঘিরে শুরু হয়েছে জল্পনা। তিনি স্পষ্ট করেছেন, এই হরিনাম অনুষ্ঠানের মূল লক্ষ্য দুটি:

ভোটার তালিকার পরিমার্জন: ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জনকে মাথায় রেখে এই অনুষ্ঠানের শেষে নির্বাচন কমিশনের কাছে ভোটার তালিকায় মতুয়াদের নাম সুরক্ষিত রাখার জন্য আর্জি জানানো হবে।

CAA ক্ষোভ: মতুয়ারা সিএএ-র ফর্ম ফিল-আপ করেও এখনও নাগরিকত্ব পাননি, সেই নিয়েও প্রতিবাদ জানানো হবে।

রাজনৈতিক চাপানউতোর

মতুয়াদের এই ‘সিএএ ক্ষোভের’ জেরে অস্বস্তিতে পড়েছে গেরুয়া শিবির। এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা প্রিয়াংগু পাণ্ডে বলেন, “CAA নিয়ে ওনারা ভুল বুঝেছেন বা কেউ ভুল বুঝিয়েছেন। সব হিন্দুই নাগরিকত্ব পাবেন। আর মতুয়াদের হরিনাম সংকীর্তনের আমন্ত্রণ পেলে আমরা সবাই যাব। কিন্তু গীতাপাঠে যখন মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল তিনি আসেননি।”

অন্যদিকে, নান্টু হালদার কটাক্ষের সুরে বলেন, “সবাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে করছেন। কেউ গীতাপাঠের আয়োজন করছেন, কেউ কোরানা পাঠের আয়োজন করছেন। কিন্তু মতুয়ারা একেবারেই অরাজনৈতিক।”

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন