কেন্দ্রীয় কমিটি ব্যতীত সারাদেশে সকল কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি।
“যে যায় লঙ্কায়, সে হয় রাবণ”—এই প্রবাদ বাক্য যেন বাস্তব হয়ে উঠেছে এনসিপির বর্তমান পরিস্থিতিতে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কারীরা যেভাবে এনসিপির ব্যানার ব্যবহার করে রাজনৈতিক মঞ্চে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেছিল, তা আজ উল্টো তাদের দিকেই ফিরে এসেছে।
গত এক বছরে বাংলাদেশ যেন এক অদ্ভুত ‘চাঁদালান্ডে’ পরিণত হয়েছে। রাজনৈতিক আদর্শ, আন্দোলন ও নাগরিক অধিকারের বুলি ছাপিয়ে এখন আলোচনার কেন্দ্রে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও অপব্যবস্থার অভিযোগ। তার জ্বলন্ত প্রমাণ গত রবিবার গুলশানে সাবেক এক এমপির বাসায় চাঁদাবাজি করতে গিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া পাঁচজনের ঘটনা—যাদের নেতৃত্বে ছিলেন এনসিপির সমন্বয় আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান রিয়াদ।
একসময় যাঁরা বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতীক ছিলেন, আজ তাঁদের নাম উঠে আসছে চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির মামলায়। এ যেন তরুন নেতৃত্ব, বিশ্বাস ও জনআস্থার এক করুণ ভাঙনের আভাস।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন