২০২৫ সালে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ২৪ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছেন এবং ১০১ জনের মৃত্যু ঘটেছে। শুধু আগস্টের প্রথম ১২ দিনে মারা গেছেন ১৯ জন—যা জুলাই মাসের তুলনায় দ্বিগুণ।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, সঠিক ও তৎপর ব্যবস্থা না নিলে সেপ্টেম্বর মাসে এই সংখ্যা তিনগুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। কারণ বর্ষার শেষ ভাগ এবং শরতের শুরুতে এডিস মশার প্রজনন সবচেয়ে বেশি হয়।
ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা:
ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এছাড়া ময়মনসিংহ, খুলনা ও রাজশাহীতেও ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে।
কারণ ও করণীয়:
• জমে থাকা পানি ও নোংরা ড্রেন মশার প্রজননের মূল ক্ষেত্র
• নিয়মিত পানি জমে থাকা পাত্র ফেলে দেওয়া
• মশারি ব্যবহার ও শরীর ঢেকে রাখা
• পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশনের ফগিং কার্যক্রম বাড়ানো
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেছেন, “এখনই প্রতিটি পরিবারকে সচেতন হতে হবে। শুধুমাত্র সরকারের উদ্যোগে ডেঙ্গু প্রতিরোধ সম্ভব নয়—সামাজিক অংশগ্রহণ জরুরি।”
জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও পরিবেশ পরিষ্কার রাখা ছাড়া এই মহামারি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে না বলে বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন