শেষবার তিনি অভিনয় করেছিলেন জনপ্রিয় ধারাবাহিক গীতা এলএলবি-তে। এই ধারাবাহিকে তাঁর সহ-অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায় জানান, “মঙ্গলবার রাত ১০টা নাগাদ তাঁর মৃত্যুর খবর পাই। আমি তখন শুটিং সেটে ছিলাম। মনটা খুবই ভারী হয়ে গিয়েছিল। তবে আমরা মনে করি, তিনি অবশেষে কষ্ট থেকে মুক্তি পেলেন, কারণ শেষ দিকে সত্যিই অনেক যন্ত্রণার মধ্যে ছিলেন।”
প্রায় সাত দশক ধরে চলচ্চিত্র, থিয়েটার ও ছোটপর্দায় সক্রিয় ছিলেন বাসন্তী চট্টোপাধ্যায়। উত্তমকুমার, সুচিত্রা সেন, ছবি বিশ্বাসের মতো কিংবদন্তি শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। জানা গিয়েছে, তিনি পেটের ক্যান্সারে ভুগছিলেন, পাশাপাশি একটি কিডনিও কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল। চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ছিল বিপুল অর্থের।
২০২৫ সালের শুরুতেও তিনি গীতা এলএলবি-র সেটে ফিরেছিলেন এবং ধারাবাহিকের এক বছরের উদ্যাপনে অংশ নিয়েছিলেন। তবে এর কিছুদিন পর পাঁজর ভেঙে যাওয়ায় তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে, এবং ধীরে ধীরে অভিনয়জগত থেকে দূরে সরে যান।
গত এপ্রিল মাসে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “ইন্ডাস্ট্রিতে যখন প্রথম পা রাখি, তখন আমার বয়স ছিল প্রায় ১৫। এর পর থেকে কেটে গিয়েছে ৭০টি বছর, সঙ্গে অসংখ্য স্মৃতি।” প্রথম জীবনে নাচের দলের হয়ে নানা অনুষ্ঠানে অংশ নিতেন তিনি। পরে ধীরে ধীরে থিয়েটারের মঞ্চ, সিনেমা ও টেলিভিশনে পোক্ত জায়গা করে নেন।
বর্ষীয়ান এই শিল্পীর প্রয়াণে টলিপাড়ায় নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া। বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর দেহ রাখা রয়েছে তাঁর বাড়িতেই। মেয়ে আসার জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন