Top News

বানভাসি মহানগরীতে ব্যবসার বেহাল দশা, উদ্বেগ প্রকাশ বিক্রেতাদের

 



২২শে সেপ্টেম্বর অর্থাৎ সোমবার রাত থেকে ২৩শে সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত মেঘভাঙা বৃষ্টিতে কোলকাতার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে জল জমে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয় সাধারন মানুষের। জল নিকাশের জন্য কোলকাতা পুরসভা থেকে ১০-১২ ঘণ্টার সময় চেয়ে নেওয়া হলেও বুধবার সকাল অবধিও মহানগরীর বহুলাংশের দুর্দশার কোন পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি। উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্রই প্রায় এক চিত্র দেখা যাচ্ছে। কোলকাতার পাটুলি, কাঁকুড়গাছি ইত্যাদি এলাকায় জল এখনও দাঁড়িয়ে আছে এবং তা নিষ্কাশন না হওয়ায় মানুষের ভোগান্তি কিছুমাত্র কম হয়নি। 

বিপুল পরিমাণে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। বানভাসি কোলকাতায় পুজোর বাজারে মন্দা ডেকে এনেছে নিম্নচাপ। উত্তর ও দক্ষিণ কোলকাতার জনপ্রিয় স্ট্রিট মার্কেটিং চত্বর হাতিবাগান ও গড়িয়াহাট এখনও জলমগ্ন থাকায় অসুবিধায় পড়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়পক্ষই। খোলা যাচ্ছে না দোকানপাট আর গুটিকয়েক খরিদ্দারেরও দেখা মিলছে না দুর্যোগ পরবর্তী দুর্ভোগের দিনে। কলেজস্ট্রিট-ঠনঠনিয়া এলাকায়ও এখন জমা জলেই চলছে মানুষের আনাগোনা। কোলকাতার ঐতিহ্যবাহী বইপাড়ার দোকানগুলিতে জল ঢুকে লক্ষ লক্ষ টাকার বই-খাতা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় চিন্তায় ব্যবসায়ীরা শেষপর্যন্ত নিজেরাই হাত লাগিয়ে বালতি দিয়ে জল নিকাশের কাজে। শোভাবাজারের কুমারটুলিতেও জলের প্রকোপে ভেসে গেছে প্রতিমার আনুষাঙ্গিক উপকরণ এখনও অসংখ্য প্রতিমায় জল ছুঁইছুঁই অবস্থা; শেষার্ধ কাজ আটকে থাকায় মৃৎশিল্পীদের চোখে জল।

 শোনা যাচ্ছে পুজোতেও চলতে পারে এই নিম্নচাপের প্রভাব আবার, ২৬ শে সেপ্টেম্বর নাগাদ দ্বিতীয় একটি নিম্নচাপ আসতে চলেছে যা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

 

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন