২০২২ সালে নিয়োগ
দুর্নীতি মামলায় নাম জড়ায় পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের।
ওই সালের ৮ই মার্চ এস.এস.সি তথা গ্রুপ-সি, গ্রুপ-ডি চাকরিক্ষেত্রতে নিয়োগ মামলার
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কোলকাতা হাইকোর্ট থেকে সি.বি.আই-এর তদন্তের নির্দেশ আসে যা
থেকে উঠে আসে শিক্ষামন্ত্রীর নাম। তার বিরুদ্ধে বেআইনি পথে অর্থ গ্রহণের অভিযোগ
উঠলে সেই অর্থানুসন্ধানে নেমে ২২শে জুলাই কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি কর্তৃক উদ্ধার করা
হয় তার বিলাসবহুল জীবনযাপনের প্রমাণস্বরূপ রাজ্যের বেশ কয়েকটি অঞ্চ্লের বাড়ি ও
ফ্ল্যাট। এছাড়াও পার্থবান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে মেলে নগদ কোটি
কোটি টাকার সন্ধান। পরের দিন অর্থাৎ ২৩শে জুলাই গ্রেপ্তার হন প্রাক্তন
শিক্ষামন্ত্রী ও তার বান্ধবী উভয়েই। তাদের ঠাঁই হয় প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে।
মামলায় জড়িয়ে তৃণমূল থেকে ২৮শে জুলাই বহিষ্কৃত হতে হয় তাকে।
কোলকাতা হাইকোর্টে একাধিকবার জামিনের আবেদন করেও আশানুরূপ ফল পাননি পার্থ
চট্টোপাধ্যায়; বারংবার জামিন খারিজ করে দেওয়া হলে ২০২৪ এ শেষমেশ বাধ্য হয়ে
সুপ্রিমকোর্টে সাহায্যভিক্ষা চাইতে হয় তাকে। সেখানে ইডির মামলা থেকে জামিন পেলেও
তার বিরুদ্ধে সি.বি.আই মামলা থাকায় কারামুক্তি মেলেনা। এবছর সেপ্টেম্বরে মাধ্যমিক,
উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলার জামিন পান, অপেক্ষা থাকে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ
মামলায় জামিনের। আজ অর্থাৎ ২৬শে সেপ্টেম্বর বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ সেই মামলার রায়
দিলে সেখানে কোনো সরকারী পদে না থাকা, পাসপোর্ট জমা রাখা, তদন্তকারীর সাথে মাসিক
সাক্ষাৎ, নিম্ন আদালতের এলাকাভুক্ত থাকার শর্তসাপেক্ষ জামিন পান পার্থ। তবে,
কারামুক্তির জন্য এখনও আরও কয়েকটি পদক্ষেপের অপেক্ষা করতে হবে তাকে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন