Top News

এখনও কিছুমাত্র হ্রাস হয়নি বইপাড়ার দুর্গতি, কেড়েছে বিক্রেতাদের ঘুম


গত সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত ক্লাউড বার্স্ট এ জমা জলে বন্যার মতো যে ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে শহরবাসী তার ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েও কোন সুরাহা মেলেনি বহু এলাকায়, পচা জলেই চলছে দৈনিক জীবনযাপন।

এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ বইমার্কেট কোলকাতার বইপাড়াতেও এক দৃশ্য এখনও ডুবে আছে একাধিক বইয়ের দোকানপাট। বিক্রেতাদের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে, জলে সাঁতরাচ্ছে লক্ষাধিক টাকার বই। প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে মা সরস্বতীর আগমন ঘটলেও কলেজস্ট্রিটের বইপাড়ায় মায়ের বিসর্জনের ছবি দেখে ব্যাথিত বইপ্রেমী নেটিজেনরাও।

 দেশ-বিদেশের দুষ্প্রাপ্য বই থেকে শুরু করে পুজোবার্ষিকীসহ বিভিন্ন বই হয়ে অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বইপাড়ায়। ‘নবজাতক’ প্রকাশনের বুলবুল ইসলামের কথায় ‘’ দুর্গা পুজোর স্টলে সরবরাহের অসংখ্য বই বিনষ্ট হয়ে গেছে যার মধ্যে অনেকগুলিই বাঁধাই অবস্থায় ছিল। অর্থাৎ, আবার সব বই নতুন করে বাঁধাই করে পাঠাতে হবে কারণ পূর্বকৃত সমস্ত স্টকই ধ্বংসপ্রাপ্ত’’। ‘ধ্যানবিন্দু’, ‘দীপ প্রকাশন’ এর বিরাট অঙ্কের আর্থিক হলেও তারা তা কাটিয়ে উঠতে পারবেন কিন্তু ফুটপাতের ধারে পসারী মাঝারি থেকে ছোটো ব্যবসায়ীরা চরমতম ক্ষতির শিকার। বালতি ভরে দোকানের জল নিষ্কাশনে নিজেরাই নেমে পড়েছিলেন আবার কখনও হালকা রোদের দেখা মিলতেই ভেজা বইগুলিকে শুষ্ক করার আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছেন।

 এর আগে তারা এমন দিন দেখেছিলেন ২০২০ সালের ‘আম্ফান’-এ তবে, তার চেয়েও এবার ২২শে সেপ্টেম্বরের রাতভর বৃষ্টির জমা হাঁটুজলে অধিক দুর্দশাগ্রস্ত তারা। সরকার থেকে সঠিক ব্যবস্থাপণা গৃহীত হয়নি, তৈরি হয়নি সঠিক পরিকাঠামো অভিমত একাংশের।

 

 

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন