Top News

ব্লু লাইনে বড়ো বদল ! নিরাপত্তা আরও বেশি জোরদার হলো কলকাতা মেট্রোর


কলকাতা মেট্রোতে এবার নজরদারি নয়, নজর পূর্বাভাস দেবে নতুন প্রযুক্তি । ব্লু লাইনে আসছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-চালিত সিসিটিভি ব্যবস্থা, যা সন্দেহভাজন আচরণ থেকে সম্ভাব্য বিপদ—সবকিছু আগেভাগেই শনাক্ত করবে। সিগন্যালিং তার কেটে যাওয়ার মতো ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। তাই প্রায় ২৫ কোটির প্রকল্পে বসানো হচ্ছে ১,৬৭৮টি AI-সক্ষম ক্যামেরা, যা ভিড়ের চাপ, অস্বাভাবিক গতিবিধি, ফেলে রাখা ব্যাগ থেকে ঝাঁপ দেওয়ার ইঙ্গিত—সবই চিনে ফেলবে কয়েক সেকেন্ডেই।

সম্প্রতি ব্লু লাইনের একাধিক স্টেশনে সিগন্যালিং তার কেটে যাওয়ার ঘটনা প্রশাসনকে নড়ে চড়ে বসে। রাতারাতি স্পষ্ট হয়ে যায়—শুধু পুরনো ক্যামেরা বা গার্ডের টহল যথেষ্ট নয়। সেই উদ্বেগ থেকেই জন্ম নেয় নতুন সিদ্ধান্ত: প্রতি কোণে থাকবে AI-চালিত ক্যামেরা, যা কেবল ছবি তুলবে না, দেখবে, চিনবে, বিশ্লেষণ করবে।
মেট্রোর আধিকারিকেরা বলছেন, মোট ১,৬৭৮টি অত্যাধুনিক ক্যামেরা, প্রায় ২৫ কোটির প্রকল্প, আর সবই একটি统一 কমান্ড সেন্টারে যুক্ত হবে। সেখানেই AI তাৎক্ষণিকভাবে বলবে—ভিড় হঠাৎ কেন বাড়ছে, প্ল্যাটফর্মে কেউ অস্বাভাবিক আচরণ করছে কি না, ব্যাগ ফেলে রেখে গেছে কি না, এমনকি কেউ ঝাঁপ দেওয়ার মতো আচরণ করছে কি না। অপারেটরদের ডেস্কে তখনই লাল আলো জ্বলে উঠবে। যাত্রীদের চেনা সেই প্ল্যাটফর্মের ব্যস্ততা এবার অন্যভাবে ধরা পড়বে—AI তৈরি করবে হিট ম্যাপ, গণনা করবে চাপের ঘনত্ব, মনে রাখবে কে কোথায় কতক্ষণ দাঁড়িয়ে আছে। প্রতিটি ডেটা নিরাপত্তা কর্মীদের সিদ্ধান্তকে আরও দ্রুত ও নিখুঁত করবে। আর প্রশাসনের দাবি—আগে যেখানে ‘ঘটনার পর’ ব্যবস্থা নেওয়া হত, এবার ‘ঘটনার আগেই’ সতর্কতা আসবে।

তবে প্রযুক্তির এই উত্থানের সঙ্গে বাড়ছে প্রত্যাশাও। প্রশ্ন উঠছে—AI কি সত্যিই সঠিক মুহূর্তে সঠিক বিপদ চিনতে পারবে? নাকি মানুষের চোখকেই শেষ লড়াই লড়তে হবে? ক্যামেরা যতই আধুনিক হোক, শেষ অবধি দৌড়তে হবে সেই নিরাপত্তা কর্মীদেরই। তবুও একটি জিনিস স্পষ্ট—কলকাতা মেট্রোর ভিতরকার পরিবেশ বদলাতে চলেছে। আগে যেখানে ক্যামেরা ছিল নির্বিকার দর্শক, এখন সেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এক ধরনের সতর্ক প্রহরীর মতো ঘুরে বেড়াবে। ট্রেন আসার আওয়াজের মধ্যে, ভিড়ের গুঞ্জনের পাশে, নীরবে কাজ করবে এই নতুন অদৃশ্য চোখ।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন