Top News

দেব আমার গিরিশ ঘোষ! কমফর্ট জোন থেকে বেরতে তিনিই শিখিয়েছেন": অকপট রুক্মিণী

গ্ল্যামার আর আলোর ঝলকানি পেরিয়ে যখন কেউ নিজের জীবনের ধূসর দিকটার কথা বলতে শুরু করেন, তখন সেই কাহিনিতে মিশে যায় এক অন্য মেজাজ। তিনি অভিনেত্রী রুক্মিণী মৈত্র, যাঁর নতুন ছবি 'হাঁটি হাঁটি পা পা' মুক্তির দোরগোড়ায়। ১২ না ১৩ নম্বর ছবি, সেই হিসেব তিনি নিজেও রাখেননি; কিন্তু এই নতুন জার্নিতে তিনি পেয়েছেন এক নতুন শিক্ষকের ছোঁয়া— যাঁর নাম স্বয়ং চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী। কিংবদন্তী এই অভিনেতা নাকি তাঁকে প্রথম দেখেই 'গর্জিয়াস' নামে ডেকেছিলেন! সেই নাম আজও বহাল, আর তাঁর সঙ্গে অভিনয় করার অভিজ্ঞতা রুক্মিণীর কাছে যেন 'আর্কাইভাল ভ্যালু' নিয়ে এক বিশাল স্কুলে পড়ার মতো।
তবে এই ছবিতে তাঁর চরিত্রটি বেশ ভিন্ন, সেখানে মধুরা তার বাবার ওপর চিৎকার করে ওঠে, নিয়ন্ত্রণ করতে চায় চারপাশ। নিজের জীবনের সঙ্গে এই ভূমিকার কোনো মিল খুঁজে পাননি রুক্মিণী। পরিচালকের কাছে তাঁর অকপট স্বীকারোক্তি ছিল— "বাবার উপর এভাবে চিৎকার করা যায় না!" কারণ, তাঁর কাছে বাবার সম্পর্ক ছিল শাসনমুক্ত, ঝগড়াবিহীন এক অন্য জগৎ। কিন্তু চিত্রনাট্য মেনে যখন তিনি লিজেন্ড চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তীর উপর রাগ দেখান, তখন সেই দৃশ্যগুলি করতে গিয়ে বার বার কেঁপে উঠেছিলেন তিনি। কারণ, বাবার হঠাৎ চলে যাওয়ার সেই ভয় এখনও তাড়া করে ফেরে তাঁকে; ফোনের একপাশে বাবা আছেন, তারপর দু'ঘণ্টা পর ফোন করলে আর নেই— এমন এক অভিজ্ঞতা তাঁকে শিখিয়েছে কাছের মানুষদের আগলে রাখতে, প্রয়োজনে 'শাসন' করতেও। তাই হয়তো আজ তিনি তাঁর মাকে শাসন করেন, শুধু একটু বেশি সিরিজ দেখার অপরাধে, যা ঘুম কেড়ে নিতে পারে!
                                  ছবি : সংগৃহীত 
 
ব্যক্তিজীবনে নিজেকে যিনি 'সাদা-কালো' মানুষ হিসেবে দেখতে ভালোবাসেন, যাঁর জীবনে মাঝামাঝি কোনো স্থান নেই, সেই মানুষটিকেও নাকি জীবন ও পেশার ‘কমফর্ট জোন’ থেকে বের করে আনতে শিখিয়েছেন একজনই— দেব। তিনি রুক্মিণীর মেন্টর, যাঁর দিকে তাকিয়ে অভিনেত্রী শেখেন জীবনবোধের সেই 'ধূসর এলাকা'কে বুঝতে, যেখানে সাদা আর কালো— দুটোকেই কখনও কখনও মেনে নিতে হয়। রুক্মিণী যেন এই মুহূর্তে বিনোদিনী, আর দেব তাঁর গিরিশ ঘোষ— ঠাট্টার ছলে বলা এই উপমাতেই যেন স্পষ্ট হয়ে ওঠে তাঁদের সম্পর্কের গভীরতা ও পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ।
আলোচনা যখন এতদূর গড়িয়েছে, তখন প্রশ্ন তো উঠতেই পারে— কবে তিনি সত্যিকারের 'প্রজাপতি'র ডানা মেলবেন? বহুচর্চিত সেই বিয়ের প্রশ্নেও রুক্মিণীর কণ্ঠে একই আত্মবিশ্বাস আর দুষ্টুমি। তাঁর সটান জবাব, "যখন দেবের 'প্রজাপতি ৩' মুক্তি পাবে, সেদিনই এই প্রশ্নের উত্তর দেব!" তাঁর বিশ্বাস, জীবনের সব কিছুই সঠিক সময়ে হবে, যখন তাঁর নিজের ইচ্ছে হবে, তখনই তিনি গাঁটছড়া বাঁধবেন। এই মুহূর্তে নিজের ভাইকেই তাঁর জীবনে সবথেকে বেশি সামলানো মানুষ হিসেবে উল্লেখ করে, এক ঝলক হাসিতে যেন সব জল্পনার অবসান ঘটান এই অভিনেত্রী।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন