শীতের দেখা নাই । নভেম্বরের শেষভাগে এসেও ফ্যান চালিয়ে কাটাতে হচ্ছে দিনগুলো। তাহলে কি এবারও শীতে ধোঁকা দেবে বাঙালিকে ? এই সময়ে দক্ষিণবঙ্গের সব জায়গায় একটাই কথা ঘুরছে। কারণ প্রকৃতির নিয়মকে একদম পাত্তা না দিয়ে পারদ যেন উপরের দিকে উঠছে। নিম্নচাপের প্রভাবে পারদ বৃদ্ধি পাচ্ছে এটাই মূল কারণ। শীতের আসার খবরটা প্রায় থেমে গিয়ে এই অস্বস্তিকর আবহাওয়া ছড়িয়ে পড়েছে। কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোতে এটা দেখা যাচ্ছে। দক্ষিণবঙ্গে এই অবস্থা চলছে। আজ ২২শে নভেম্বর শুক্রবার। ক্যালেন্ডারে লেখা ভরা হেমন্তের সময়। কিন্তু দিন বাড়তেই সবাই ঘামছে দরদর করে। এটা দেখে আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদেরও চোখ কপালে উঠেছে। আবহাওয়া দপ্তর আর সাধারণ মানুষ সবাই অবাক হয়েছে।
এই হঠাৎ তাপমাত্রা বাড়ার পিছনে সমুদ্রে তৈরি একটা অপ্রত্যাশিত নিম্নচাপের প্রভাব রয়েছে। নিম্নচাপের দাপট এটাই কারণ। আবহাওয়া দপ্তরের সাম্প্রতিক পূর্বাভাস বলছে। আগামী রবিবার পর্যন্ত দিনের তাপমাত্রা আরও উঠতে পারে। কলকাতায় দুপুরের সময় তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যেতে পারে। এই সময়ে ন্যূনতম তাপমাত্রা অনেক কম থাকার কথা ছিল। কিন্তু এখন সেটা ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি ঘুরছে। দিনের তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শীতকালে দুপুরে এমন ঘামের পরিস্থিতি দেখে শীতপ্রেমীরা হতাশ হয়ে গেছে। গত কয়েকদিনে রাতের তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি বেড়েছে। হালকা শীতের ছোঁয়া যা ছিল সেটা এখন পুরোপুরি চলে গেছে। এই সময়েও শহরের লোকেরা শীতের জামাকাপড় দূরে রাখতে বাধ্য।
আবহাওয়াবিদেরা এখনও হাল ছাড়েননি। তাঁদের মতে এই উষ্ণতা বাড়া শুধু প্রকৃতির একটা ফাঁকি। হাওয়া অফিস জানিয়েছে যে দক্ষিণবঙ্গে আগামী কয়েকদিন শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে। কোথাও বড় সতর্কতার দরকার নেই। কিন্তু পশ্চিমাঞ্চলের জেলায় রাতে তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নামতে পারে। সেখানে ঘন কুয়াশা দেখা দিতে পারে। ভোরবেলায় দৃশ্যমানতা কমে যাবে। সড়কপথে সমস্যা হতে পারে। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের পর থেকে আবহাওয়া বদলাতে পারে। বিশেষজ্ঞরা এটা নিয়ে আশা দিচ্ছেন। তাঁদের ধারণা বড়দিনের আগেই কনকনে শীত ফিরে আসতে পারে বঙ্গে। এখন এই গ্রীষ্মকালীন শীতের আবহাওয়া থেকে ছাড় পাওয়ার জন্য সবাই ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের দিকে তাকিয়ে আছে। দক্ষিণবঙ্গের সবাই এভাবে অপেক্ষা করছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন