Top News

২০০২ সালের ডিজিটাল ভোটার তালিকায় নাম না থাকলেও বৈধ ভোটারদের আর কোনও ধরনের হয়রানি চলবে না বলে স্পষ্ট বার্তা দিল কমিশন; ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে নেওয়া হল গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।

২০০২ ডিজিটাল ভোটার তালিকা ঘিরে রাজ্যের ভোটারদের দীর্ঘদিনের দুশ্চিন্তায় অবশেষে স্বস্তি। অনলাইনে নাম না থাকলেও, যদি ২০০২ সালের হার্ড কপিতে কোনও বৈধ ভোটার নিজের নাম খুঁজে পান, তাহলে তাঁকে আর অকারণে শুনানিতে ডাকা যাবে না-এমনই স্পষ্ট নির্দেশ পাঠিয়েছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী দপ্তর (CEO Office) নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে।

এই সিদ্ধান্তে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভোটারদের মধ্যে স্বচ্ছতা ও আস্থা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে প্রশাসনের ধারণা।

রাজ্যের অধিকাংশ বুথের ২০০২ সালের ভোটার তালিকা ইতিমধ্যেই ডিজিটালাইজ করা হয়েছে। কিন্তু কিছু বুথে পুরনো হার্ড কপির অভাবে ডিজিটাল তালিকা অসম্পূর্ণ রয়ে গিয়েছে। ফলে অনেক ভোটার অনলাইনে নিজের নাম না পেয়ে বিভ্রান্ত হচ্ছিলেন। নতুন নির্দেশ অনুযায়ী, অনলাইনে নাম না থাকলেও হার্ড কপিতে নাম মিললে তাঁকে ডিজিটাল ভোটার তালিকা সংক্রান্ত কোনও শুনানিতে ডাকা যাবে না।

২০০২ ডিজিটাল ভোটার তালিকায় নাম না থাকলেও বৈধ ভোটারকে আর হয়রানি নয়, বড় সিদ্ধান্ত কমিশনের

CEO দপ্তর জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট বুথের ERO-দের যেভাবেই হোক ২০০২-এর হার্ড কপি সংগ্রহ করে যাচাই করতে হবে। প্রয়োজনে রাজনৈতিক দলের আর্কাইভও ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে নিশ্চিত করা হবে যাতে কোনও বৈধ ভোটার অনিচ্ছাকৃতভাবে বাদ না পড়ে বা অযথা হয়রানির শিকার না হন।

এদিকে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পর আরেকটি বড় প্রস্তুতির কথা জানা গিয়েছে। কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী, মৃত ভোটার, স্থানান্তরিত ভোটার, নিখোঁজ ভোটার, ভুয়ো ভোটার এবং ফর্ম গ্রহণের পরও জমা না দেওয়া ভোটার-এই পাঁচটি ক্যাটেগরি নিয়ে দ্বিতীয় একটি তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন। এই নতুন তালিকা থেকেই স্পষ্ট হবে, ভোটার তালিকা থেকে মোট কতজনের নাম বাদ পড়তে চলেছে।

জেলাশাসকদের ইতিমধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ৪ ডিসেম্বর রাত ১২টার মধ্যে এনুমারেশন ফর্ম জমা না দিলে সংশ্লিষ্ট ভোটারকে 'অসংগৃহীত' বা Uncollectable শ্রেণিতে রাখা হবে। এই অবস্থায় তাঁকে খসড়া তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে এবং ৯ ডিসেম্বরের পর নতুন করে ফর্ম ৬ জমা দিয়ে তালিকায় নাম তুলতে হবে। এতে প্রশাসনিক প্রক্রিয়া যেমন সহজ হবে, তেমনই তালিকা হবে আরও নির্ভুল ও ত্রুটিমুক্ত।

অনেকের মতে, ২০০২ ডিজিটাল ভোটার তালিকা সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। কারণ বহুদিন ধরেই অনলাইন তালিকায় নাম অনুপস্থিত থাকার কারণে সাধারণ ভোটারদের মনে নানারকম প্রশ্ন তৈরি হচ্ছিল। নতুন নির্দেশে পরিষ্কার, হার্ড কপি থাকলে কোনও বৈধ ভোটারকে আর অযথা দৌড়ঝাঁপ বা অকারণ শুনানির মুখোমুখি হতে হবে না।

নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে কমিশনের এই স্বচ্ছ নীতি ভোটারদের আস্থা বাড়াবে এবং রাজ্যের ভোটপ্রক্রিয়াকে আরও নির্ভুল ও স্বচ্ছ করবে বলে প্রশাসনের অভিমত। ভবিষ্যতে ডিজিটাল ও হার্ড কপির সমন্বিত যাচাই প্রক্রিয়াই হবে ভোটার তালিকা প্রস্তুতির মূল ভিত্তি।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন