Top News

SIR-এর ভয়ে জনশূন্য মধ্যমগ্রাম! রাতারাতি উধাও ১০০-র বেশি পরিবার

মধ্যমগ্রাম পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মাঠপাড়া এলাকা থেকে রাতারাতি উধাও হয়েছে প্রায় ১০০টি পরিবার। স্থানীয়দের দাবি, রাজ্যে SIR ফর্ম প্রক্রিয়া চালু হতেই অবৈধ নথিপত্রের অভাবে তারা বাংলাদেশ সীমান্তের ওপারে পালিয়ে গিয়েছে। গোটা এলাকায় এখন নিস্তব্ধতা, পড়ে রয়েছে শুধু ব্যবহৃত জিনিসপত্র।

এসআইআর আতঙ্কে আত্মঘাতী গৃহবধূ:

ভাতারের ভুমশোরে মৃত গৃহবধূর নাম মুস্তরা খাতুন কাজি (৪০)। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার তিনি এসআইআর ফর্ম জমা দিয়েছিলেন এবং তাঁর নাম ২০০২ সালের তালিকায় ছিল। এরপরই তিনি প্রবল মানসিক চাপে ভুগতে থাকেন। পরিবারের দাবি, এসআইআর সংক্রান্ত চাপ ও মানসিক অশান্তির কারণেই তিনি গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মঘাতী হন। পুলিশ দেহ ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে এবং প্রকৃত কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে।

মধ্যমগ্রামে ১০০ পরিবারের গণ-পলায়ন:

অন্যদিকে, মধ্যমগ্রাম পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মাঠপাড়া এলাকার একটি বস্তি এখন জনমানবহীন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এখানে একশোরও বেশি পরিবারের বাস ছিল, যাদের বেশিরভাগই ভাঙারি বা স্ক্র্যাপ-এর কাজ করত। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই পরিবারগুলির অনেকেই মূলত বাংলাদেশ থেকে এসেছিল। এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পরেই আতঙ্কিত হয়ে এই সকল পরিবার একে একে এলাকা ছেড়ে পালায়। রাতারাতি গোটা গ্রাম ফাঁকা হয়ে যাওয়ায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তবে এই পরিবারগুলি ঠিক কোথায় গিয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। এলাকা ফাঁকা হওয়ার খবর পেয়ে প্রশাসনের তরফ থেকেও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে।

নদীয়ায় ভুল ফর্ম বিতরণ ঘিরে বিতর্ক:

এসআইআর আবহের এই মানসিক চাপ আরও বাড়িয়ে তুলেছে কমিশনের এনুমারেশন ফর্ম বিতরণের ভুল। নদীয়ার শান্তিপুর ব্লকের নবলা পঞ্চায়েত এলাকায় বাসিন্দা গোবিন্দ রায় অভিযোগ করেছেন, তাঁদের পরিবারের পাঁচ সদস্যের জন্য ছয়টি এনুমারেশন ফর্ম দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত ফর্মটিতে শান্তনু রায় নামে এক অপরিচিত ব্যক্তির নাম রয়েছে, যার বাবার নামও গোবিন্দ রায়ের বাবার নাম (সুভাষচন্দ্র রায়)-এর সঙ্গে মিলে যাচ্ছে। গোবিন্দ রায়ের দাবি, বুথ লেভেল অফিসার (BLO) জোর করে ভুল ফর্মটি তাঁকে দিতে চেয়েছেন। কমিশনের এই ধরনের ত্রুটিপূর্ণ কাজের ফলে সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে আতঙ্ক ও সন্দেহ আরও বাড়ছে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন