Top News

প্রয়াত CPM নেতার ঘরের মাটি খুঁড়তেই উদ্ধার জোড়া খুলি ও হাড়! 'হার্মাদদের কলঙ্কিত ইতিহাস', তোপ তৃণমূল বিধায়কের


অশোকনগরে চাঞ্চল্য! সংস্কারের জন্য প্রয়াত সিপিএম নেতার ঘর ভাঙার পর মাটি খুঁড়তেই উদ্ধার হল দুটি মানুষের খুলি-সহ একাধিক হাড়। এই ঘটনায় স্থানীয় রাজনীতিতে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। তৃণমূল বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী এই কঙ্কাল উদ্ধারের ঘটনাকে সিপিএমের 'হার্মাদদের কলঙ্কিত ইতিহাস' বলে আক্রমণ করেছেন।

বারাসত জেলা পুলিশ সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খরিয়া জানিয়েছেন, দুটি মানুষের কঙ্কাল উদ্ধারের ঘটনায় দুটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে। ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য সোমবার অ্যানাটমি এক্সপার্টরা ঘটনাস্থলে আসবেন। ময়না তদন্ত এবং ডিএনএ প্রোফাইল পরীক্ষার পরই মৃত্যুর কারণ, পুরুষ নাকি মহিলা- তা জানা যাবে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অশোকনগর পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কল্যাণগড় স্বামীজি সংঘ ক্লাব সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা ছিলেন প্রয়াত সিপিএম নেতা বিজন মুখোপাধ্যায়। সম্প্রতি তাঁর মেয়েরা বেডরুম ভেঙে নতুন ঘর তৈরির কাজ শুরু করলে, এদিন সকালে মাটি খোঁড়ার সময় কঙ্কালগুলি উদ্ধার হয়। খবর জানাজানি হতেই এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। অশোকনগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে কঙ্কালগুলি উদ্ধার করে তদন্ত শুরু করেছে।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী বলেন, "সিপিএম নেতা বিজন মুখোপাধ্যায়ের বেডরুমের মাটি খুঁড়েই কঙ্কাল উদ্ধার হয়েছে। তাঁর ভাই সমীর মুখোপাধ্যায়ও সিপিএম করত। বাম জমানায় এরা ত্রাস ছিল এবং আশি-নব্বইয়ের দশকে এদের কথাই ছিল শেষ কথা। এটি ওদেরই কদর্য ইতিহাস। তৎকালীন সময়ের কংগ্রেস করত যে কঙ্কালগুলি, এগুলি তাদেরই বলে আমরা অনুমান করছি। বাড়ির চৌহদ্দিতে আরও কঙ্কাল থাকতে পারে। পুলিশ তদন্ত করছে। বিজন, সমীররা জীবিত নেই, তাদের সাগরেদদের জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত।" তিনি ২০০২ সালে কল্যাণগড় বালিকা বিদ্যালয়ের পিছনের জলের ট্যাঙ্ক থেকে পচা-গলা দেহ ও হাড় উদ্ধারের ঘটনাও স্মরণ করিয়ে দেন।

যদিও এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সিপিএমের জেলা সম্পাদক পলাশ দাস বলেন, "২০১১ সালের পর থেকে তৃণমূল এরকম অনেক বড় বড় কথা বলেছে। আমাদের পার্টির অনেক নেতাকে বিভিন্ন অভিযোগে জেলে ভরবে বলেছে। অথচ তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরাই নানান কেলেঙ্কারিতে জেল খেটেছেন।"

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন